ঢাকা, ২৯ মে ২০২৫:
জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের সময়ের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এবং কাঠামোগত সংস্কারের বাস্তবায়ন। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা এই বিচার ও সংস্কারের একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ জাতির সামনে উপস্থাপন করে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এবং একাধিক পথসভায় অংশগ্রহণ করে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “গণ-অভ্যুত্থান কোনো কল্পিত আবেগ নয়, বরং জনগণের লালিত মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য একটি বাস্তব প্রতিরোধ। জনগণের ভোটাধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবনের অধিকার নিশ্চিত করাই এই অভ্যুত্থানের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা আর বারবার রাজপথে রক্ত দিতে চাই না। ইতিহাসকে যেন আর রক্ত দিয়ে লিখতে না হয়—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। জনগণ আর প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তব পরিবর্তন চায়।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। তিনি বলেন, “আমাদের একমাত্র লক্ষ্য একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থা—যেখানে রাষ্ট্র কোনো বিশেষ গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করবে না। বরং, তা হবে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও মর্যাদার রক্ষক। স্বাধীনতার এত বছর পরও যদি জনগণ নিজেকে রাষ্ট্রের বাইরে মনে করে, তবে সেটাই রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।”
ডা. তাসনিম আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, একটি মানবিক, জবাবদিহিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থাই পারে নাগরিকের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে। সেই লক্ষ্যে এনসিপি দেশজুড়ে গণসচেতনতা গড়ে তুলছে।”
পথসভাগুলোতে স্থানীয় জনসাধারণের ব্যাপক উপস্থিতি ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। উপস্থিত জনগণও বিচার ও সংস্কারের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।